শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়ন ব্যতিত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন উপলক্ষে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪ টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। পরে শুরু হয় গণনা। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে একে একে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পাইকগাছা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
কপিলমুনি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের কওসার, লতা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের কাজল কান্তি বিশ্বাস, দেলুটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের রিপন কান্তি মন্ডল, সোলাদানা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মান্নান গাজী,লস্কর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের তুহিন কাগজী, গদাইপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জিয়াদুল, চাঁদখালী ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের শাহাজাদা ইলিয়াস, রাড়ুলী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ, গড়ুইখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের আ:সালাম কেরু
দিঘলিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নে হায়দার আলী মোড়ল, সেনহাটি ইউনিয়নে জিয়া গাজী, বাকারপুর ইউনিয়নে নৌকার গাজী জাকির, গাজীরহাট ইউনিয়নে মফিজুল ইসলাম ঠাণ্ডু, যোগীপোল ইউনিয়ন সাজেদুর রহমান লিংকন, আড়ংঘাটা ইউনিয়নে এসএম ফরিদ আক্তার ।
কয়রায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
কয়রা সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সর্দার নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে মোহাম্মদ আসের আলী, বাগালী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জিয়াউর রহমান, মহারাজপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের শাহনেওয়াজ
দাকোপে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
বাজুয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মানষ কুমার রায়, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে গাজী জালাল উদ্দিন, কামারখোলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পঞ্চানন মণ্ডল, সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিনয় কৃষ্ণ রায়, বানিয়াশান্তা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সুদেব রায় নৌকা,
লাউডোব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের শেখ যুবরাজ, পানখালী ইউনিয়নে সাব্বির আহমেদ, সুতারখালী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মাসুম আলী ফকির, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মিহির মণ্ডল ।
বটিয়াঘাটা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা:
গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের মোঃ আসলাম হালদার, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের আসাবুর রহমান আসাদ, আমিরপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মিলন গোলদার।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে খুলনা জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে।
জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে যেসব ইউনিয়নে ভোট হয়েছে সেগুলো হলো—কয়রা উপজেলার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী।
দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া, বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা, আমিরপুর। দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটি, আড়ংগাটা ও যোগীপোল। পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, গদাইপুর, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা, লস্কর ও কপিলমুনি ইউনিয়ন।
এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫৬ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দাকোপের লাউডোব ইউনিয়নে শেখ যুবরাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া কয়রা উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর পদে শেখ সোহরাব আলী বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ৩৪টি ইউনিয়নে ৩০৬টি ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৪৮১ জন। সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী ৪৬৪ জন। ইউনিয়নগুলোতে এবারে মোট ভোটার ৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৬ জন।
এবারের ইউপি নির্বাচনে দুটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ইউনিয়ন দুটি হচ্ছে—বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর ও দিঘলিয়ার বারকপুর ইউনিয়ন। এ দুটি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ১৯টি এবং ভোট প্রদান কক্ষ ১০৬টি।
অপরদিকে, বাকি ৩২ টিতে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এসব ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৩০৮টি ও ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৭৯৪টি।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার এম মাজহারুল ইসলাম জানান, জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।